২৪ মার্চ ২০২৫ | সময়: ১০:০৯
অষ্টাদশ শতকের রাশিয়ায় সন্তানসংখ্যার সঙ্গে ধার্মিকতার যোগ ছিল। সে সময় বেশি সন্তানের মা–বাবাদের সমাজে বিশেষ সম্মান দেওয়া হতো। এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটিয়েছিলেন রুশ কৃষক ফিওদর ভ্যাসিলিয়েভের প্রথম স্ত্রী ভ্যালেন্তিনা ভ্যাসিলিয়েভ, যিনি জন্ম দিয়েছিলেন ৬৯ সন্তানের!
৪০ বছরে ২৭ বার মা হলেন ভ্যালেন্তিনা!
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ভ্যালেন্তিনা ভ্যাসিলিয়েভের জন্ম ১৭০৭ সালে এবং মৃত্যু ১৭৮২ সালে। যদিও এ তথ্য নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে জানা যায়, ১৭২৫ থেকে ১৭৬৫ সালের মধ্যে ৪০ বছরে তিনি ২৭ বার গর্ভধারণ করেন। এর মধ্যে ১৬ বার যমজ, ৭ বার ত্রয়ী এবং ৪ বার একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দেন। সব মিলিয়ে মোট ৬৯ সন্তান!
এই অবিশ্বাস্য সংখ্যার কারণে ভ্যালেন্তিনার নাম উঠে আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। তবে সন্তানদের মধ্যে দুজন জন্মের পরপরই মারা যান, বেঁচে ছিলেন ৬৭ জন। এতবার গর্ভধারণের কারণে ভ্যালেন্তিনার শরীর ভেঙে পড়েছিল, যা তাঁর স্বাভাবিক জীবনে বেশ প্রভাব ফেলেছিল।
৮৭ সন্তানের বাবা ফিওদর!
ফিওদর ভ্যাসিলিয়েভ শুধু ৬৯ সন্তানের জনকই ছিলেন না, দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভেও জন্ম নেয় ১৮ সন্তান! তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ছয়বার যমজ এবং দুবার ত্রয়ী সন্তানের জন্ম দেন। সব মিলিয়ে ফিওদর ছিলেন ৮৭ সন্তানের জনক, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্মদানের রেকর্ড।

বাস্তবতা নাকি কল্পনা?
মস্কোর এক সাংবাদিক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনার পর বিশ্বজুড়ে তা আলোড়ন তোলে। রাশিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ‘ভ্যাসিলিয়েভ ফ্যামিলি’ নিয়ে চর্চা শুরু করে। তবে কেউ কেউ এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেন। যদিও একে ভুয়া প্রমাণ করার মতো কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।
ভ্যালেন্তিনার নামে ছড়িয়ে পড়া ভুল ছবি
অনলাইনে ভ্যালেন্তিনা ভ্যাসিলিয়েভের নামে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে তাঁর সন্তানদের সঙ্গে দেখা যায়। কিন্তু এটি আদৌ তাঁর ছবি নয়! ইতিহাস বলে, ভ্যালেন্তিনা মারা যান ১৭৮২ সালে, অথচ প্রথম আলোকচিত্র তোলা হয় ১৮২৬ বা ১৮২৭ সালে। অর্থাৎ, তাঁর মৃত্যুর ৪৪ বছর পর ক্যামেরার আবিষ্কার!
ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট ‘স্নোপস’ জানায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি মূলত ১৯০৪ সালে প্রকাশিত মার্কিন সাময়িকী ‘ইউটাহ হিস্ট্রিক্যাল কোয়ার্টারলি’ থেকে নেওয়া। ২০১২ সালে ‘টপ ১০ লিস্টস’ নামের এক ওয়েবসাইট ছবিটির ভুল ক্যাপশন দিয়ে একে ভ্যালেন্তিনার ছবি বলে প্রচার করে।
শেষ পর্যন্ত সত্য কী?
ভ্যালেন্তিনার ৬৯ সন্তান জন্মদানের ঘটনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে থাকলেও এর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক এখনো রয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, রাশিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা, যা আজও মানুষকে বিস্মিত করে।
বাস্তবতা নাকি কল্পনা?
মস্কোর এক সাংবাদিক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনার পর বিশ্বজুড়ে তা আলোড়ন তোলে। রাশিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ‘ভ্যাসিলিয়েভ ফ্যামিলি’ নিয়ে চর্চা শুরু করে। তবে কেউ কেউ এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেন। যদিও একে ভুয়া প্রমাণ করার মতো কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।
ভ্যালেন্তিনার নামে ছড়িয়ে পড়া ভুল ছবি
অনলাইনে ভ্যালেন্তিনা ভ্যাসিলিয়েভের নামে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে তাঁর সন্তানদের সঙ্গে দেখা যায়। কিন্তু এটি আদৌ তাঁর ছবি নয়! ইতিহাস বলে, ভ্যালেন্তিনা মারা যান ১৭৮২ সালে, অথচ প্রথম আলোকচিত্র তোলা হয় ১৮২৬ বা ১৮২৭ সালে। অর্থাৎ, তাঁর মৃত্যুর ৪৪ বছর পর ক্যামেরার আবিষ্কার!
ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট ‘স্নোপস’ জানায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি মূলত ১৯০৪ সালে প্রকাশিত মার্কিন সাময়িকী ‘ইউটাহ হিস্ট্রিক্যাল কোয়ার্টারলি’ থেকে নেওয়া। ২০১২ সালে ‘টপ ১০ লিস্টস’ নামের এক ওয়েবসাইট ছবিটির ভুল ক্যাপশন দিয়ে একে ভ্যালেন্তিনার ছবি বলে প্রচার করে।
শেষ পর্যন্ত সত্য কী?
ভ্যালেন্তিনার ৬৯ সন্তান জন্মদানের ঘটনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে থাকলেও এর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক এখনো রয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, রাশিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা, যা আজও মানুষকে বিস্মিত করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!