লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুথিদের হামলার জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
হামলার লক্ষ্য ছিল হুতিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্রভাণ্ডার, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডার।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, এই হামলার উদ্দেশ্য হুতিদের "বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলার ক্ষমতা খর্ব ও ব্যাহত করা।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেন, হামলাটি "সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য"।
হুথিরা হামলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা "গাজার অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত" তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
হুথিরা সম্প্রতি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি, জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে আমেরিকান সৈন্যদের উপর হামলায় হুথিদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
হুথিরা হামলার নিন্দা করেছে এবং "জবাব হামলাতেই দেবো" বলেছে। ইয়েমেনের হুথি সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-হাদ্দি বলেছেন, এই হামলা "ইয়েমেনি জনগণের বিরুদ্ধে একটি নতুন আগ্রাসন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় পক্ষকে সংযম রক্ষার এবং আরও সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এই হামলা ইয়েমেনের চলমান যুদ্ধে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
এই হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে এসেছে। ইয়েমেনের যুদ্ধ চলছে ৭ বছর ধরে এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের একটি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!